জনাব মোঃ মোছলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া ১২-ই চৈত্র ১৩৫৭ বঙ্গাব্দে নারসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলায় তালুক-কান্দি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।তার পিতার নাম মোঃ আমির হোসেন ভূঁইয়া।তার মাতার নাম মোসা আনুয়ারা বেগম।তার ১ম স্ত্রী বেগম সুফিয়া ভূঁইয়া,২য় স্ত্রী সাধনা ইয়াসমীন ভূঁইয়া।তার দু-ছেলে ও দু -মেয়ে।তিনি ছিলেন একজন বীর-মুক্তিযোদ্ধা।শিক্ষা-এম.এস.এস (এম.এড)।পেশায় তিনি একজন সাবেক প্রধান-শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দৌলতকান্দি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের।তাছাড়া তিনি বিভিন্ন পেশায় নিয়জিত ছিলেন।তিনি ২০০৫ সালে নরসিংদী পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সাবেক সভাপতি ছিলেন।
তিনি আহবায়ক-সভাপতি ছিলেন সম্প্রীতি সাহিত্য পরিষদ ভৈরব,কিশুরগঞ্জ।তিনি দৌলতকান্দি গ্ণকেন্দ্র পাঠাগার এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি।তিনি নরসিংদী জেলার তুমোদ্দোন মজলিস এর সাবেক আহবায়ক।তিনি সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন নরসিংদী জেলার কারিগরি কলেজ সমিতির।তছাড়া তিনি সমাজ সংস্কারক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় উতপ্রোতভাবে জরিত।যেমনঃ
১.দৌলতকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
২.পাহাড়কান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয় ।
৩.বেগমাবাদ থানাকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং এলাকার বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান সহ মাদ্রসা ও মসজিদ নির্মান কাজে জরিত।
তিনি একজন কবি ও সাহিত্যিক।তার লেখা ঃযৌথকাব্য চন্দ্রালোকে(২০১২০খ্রিঃ),প্রজ্বলিত প্রেম (২০১৬খ্রিঃ),গ্রাম্য-রাজনীতি (২০২০খ্রিঃ) ও প্রগতির প্রত্যাশা অপ্রকাশিত।তিনি ২০০৯ সালে সম্প্রীতি সাহিত্যেপরিষদ কতক সাংগঠনিক ও সাহিত্যে পুরষ্কার প্রাপ্ত হন।তিনি ভারতের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যসহ নেপাল,ভুটান,ইন্দ্রোনেশিয়া ও সৌদি-আরব ভ্রমন করেন।
মোঃ মোছলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে দৌলতকান্দি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লগ্নে বহু মানুষ মন্তব্য করেছে এ প্রতিষ্ঠান বাস্তাবায়ন করা সম্ভব না,এমন কি ভূঁইয়া সাহেবকে নিয়ে অনেক হাসি,তামাসা,ভিন্ন মন্তব্য করেছে ।এতকিছুর পরও তিনি হাল ছাড়েন নাই এবং প্রতিষ্ঠানটি অনেক সুন্দরভাবে গড়ে তুলেন।অথচ প্রতিষ্ঠানটি দঢ়গতিতে নারীশিক্ষার মূর্তিগার হিসেবে সর্বজনীন স্বীকৃতি লাভ করে।২০০০- খ্রিষ্টাব্দে অত্র প্রতিষ্ঠানে এস. এস.সি (ভোক) ও এইচ. এস .সি (বি.এম) কোর্চ চালু করা হয়।এতে ছেলে-মেয়েদের চাহিদা বয়ে যায়।এলাকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগ্ণ ছেলে-মেয়েদের কুঅর্ডিকেশন কলেজ স্থাপনের প্রস্তাব করেন।তিনি দৌলতকান্দি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে (১৯৮৬খ্রিঃ-২০১২খ্রিঃ) পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।তিনি ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে এই প্রতিষ্ঠান হতে অবসর নেন।
তিনি ২০১৩ সালে রায়পুরা উপজেলার পূর্বাঞ্চলে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।এই কলেজটির নামকরন করা হয় পূর্বাঞ্চল কলেজ।২০১৮ সালে বিভিন্ন ইউনিয়ন গ্রাম ইত্যাদিতে জনসংযোগ করা হলে কলেজ দর্শনে কারও কারও মনে শংকা কাটোনি বিধায় পূর্বাঞ্চলের কলেজ বাস্তবায়নের জন্য এলাকাবাসী এই কলেজের নতুন নামকরন করেন মোছলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া কলেজ।২০১৯ – ২০২০ সাল শিক্ষাবর্ষ হতে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির জন্য সিদ্ধান্ত গহিত হয়।
Recent Comments